১৯৫১ সালে পঞ্চম সন্তান জন্ম দেয়ার পর, জরায়ুতে জটিল সমস্যার কারণে হেনরিটা ল্যাকস’কে জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।
ডাক্তাররা হেনরিটার টিস্যুর কিছু নমুনা নিলেন। দেখা গেল সাধারণ কোষের মতোই হেনরিটার কোষগুলিও কয়েক দিন পরেও মারা যায়নি।
কিন্তু মাথা ঘুরিয়ে দেয়ার মত ব্যাপারটা ছিল যখন ডাক্তাররা খেয়াল করলেন—তার কোষগুলো প্রতি ২০ থেকে ২৪ ঘন্টায় বেড়ে দ্বিগুণ হচ্ছিল।
দুনিয়া বদলে দিয়েছে এমন লোকদের তালিকায় নিজেকে খুঁজে পেয়ে হেনরিটা ল্যাকস হতবাক হতেন। আমরা খুব মানুষই হয়তো তার নামটা শুনেছি অথচ তিনি বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ মানুষের জীবন বাঁচিয়ে চলেছেন।
হেনরিটা ল্যাকস ছিলেন ভার্জিনিয়ার একজন দরিদ্র তামাক চাষী। তিনি হিলা কোষের (HeLa cell line) জনক — তার রক্তে একদম আলাদা ধরণের কোষ ছিল যা তার দেহের বাইরে অনির্দিষ্টকাল ধরে বেঁচে থাকতে পারে। এগুলোকে হিলা কোষ নাম দেয়া হয়।
বিশ্বজুড়ে ট্রিলিয়নের বেশী ল্যাবরেটরিতে হেনরিটার কোষগুলি পাওয়া যায়। মেডিকেল গবেষকরা কেবল ক্যান্সার নয়, হিমোফিলিয়া, ইনফ্লুয়েঞ্জা, লিউকেমিয়া এবং পার্কিনসন রোগের গবেষণায় সেগুলো ব্যবহার করছেন। এছাড়াও পোলিও ভ্যাকসিন, ক্যান্সারের ড্রাগ ট্যামোক্সিফেন, কেমোথেরাপি, জিন ম্যাপিং এবং আরও অন্যান্য রোগের গবেষণায় সম্পূর্ণ হোস্ট হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছিল।
এই হিলা কোষগুলি এমন এক ধরণের কোষ যেগুলি মারা যাওয়ার কোনও লক্ষণ দেখায় না।
হেনরিটার জরায়ুতে মারাত্মক টিউমার ধরা পড়ে এবং হাসপাতালে ভর্তির কয়েক মাসের মধ্যেই তিনি মারা গিয়েছিলেন। তাকে এমন এক কবরে সমাধিস্থ করা হয়েছিল, যেটাতে কোনো নামফলকও ছিল না।
তিনি কখনও জেনেও যেতে পারেন নি যে—তিনি লক্ষ লক্ষ জীবন বাঁচাবেন এবং তাঁর কোষগুলি চিরকাল বেঁচে থাকবে।
পরিশেষে, ২০১০ সালে হেনরিটার কবর একটি নামফলক পায়।
১৯৫১ সালে পঞ্চম সন্তান জন্ম দেয়ার পর, জরায়ুতে জটিল সমস্যার কারণে হেনরিটা ল্যাকস’কে জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।
ডাক্তাররা হেনরিটার টিস্যুর কিছু নমুনা নিলেন। দেখা গেল সাধারণ কোষের মতোই হেনরিটার কোষগুলিও কয়েক দিন পরেও মারা যায়নি।
কিন্তু মাথা ঘুরিয়ে দেয়ার মত ব্যাপারটা ছিল যখন ডাক্তাররা খেয়াল করলেন—তার কোষগুলো প্রতি ২০ থেকে ২৪ ঘন্টায় বেড়ে দ্বিগুণ হচ্ছিল।
দুনিয়া বদলে দিয়েছে এমন লোকদের তালিকায় নিজেকে খুঁজে পেয়ে হেনরিটা ল্যাকস হতবাক হতেন। আমরা খুব মানুষই হয়তো তার নামটা শুনেছি অথচ তিনি বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ মানুষের জীবন বাঁচিয়ে চলেছেন।
হেনরিটা ল্যাকস ছিলেন ভার্জিনিয়ার একজন দরিদ্র তামাক চাষী। তিনি হিলা কোষের (HeLa cell line) জনক — তার রক্তে একদম আলাদা ধরণের কোষ ছিল যা তার দেহের বাইরে অনির্দিষ্টকাল ধরে বেঁচে থাকতে পারে। এগুলোকে হিলা কোষ নাম দেয়া হয়।
বিশ্বজুড়ে ট্রিলিয়নের বেশী ল্যাবরেটরিতে হেনরিটার কোষগুলি পাওয়া যায়। মেডিকেল গবেষকরা কেবল ক্যান্সার নয়, হিমোফিলিয়া, ইনফ্লুয়েঞ্জা, লিউকেমিয়া এবং পার্কিনসন রোগের গবেষণায় সেগুলো ব্যবহার করছেন। এছাড়াও পোলিও ভ্যাকসিন, ক্যান্সারের ড্রাগ ট্যামোক্সিফেন, কেমোথেরাপি, জিন ম্যাপিং এবং আরও অন্যান্য রোগের গবেষণায় সম্পূর্ণ হোস্ট হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছিল।
এই হিলা কোষগুলি এমন এক ধরণের কোষ যেগুলি মারা যাওয়ার কোনও লক্ষণ দেখায় না।
হেনরিটার জরায়ুতে মারাত্মক টিউমার ধরা পড়ে এবং হাসপাতালে ভর্তির কয়েক মাসের মধ্যেই তিনি মারা গিয়েছিলেন। তাকে এমন এক কবরে সমাধিস্থ করা হয়েছিল, যেটাতে কোনো নামফলকও ছিল না।
তিনি কখনও জেনেও যেতে পারেন নি যে—তিনি লক্ষ লক্ষ জীবন বাঁচাবেন এবং তাঁর কোষগুলি চিরকাল বেঁচে থাকবে।
পরিশেষে, ২০১০ সালে হেনরিটার কবর একটি নামফলক পায়।