
গল্পের ভেতর দিয়ে নাকি জীবন বলে ফেলা যায়।আসলেই তো গল্প তো জীবন থেকে উঠে আসা এক একটা পোড় খাওয়া অধ্যায়।
জীবনকে যদি মলাটবদ্ধ বই ধরা হয় মানুষের গল্প হলো তার প্রতিটি অধ্যায়। জীবন নামক বই হাসি কান্না সুখ দু:খ পাওয়া না পাওয়া আনন্দ বেদনার এক কাব্য।
শহুরে শিক্ষিতা সুশ্রী একটা মেয়ে যে চায় নিজের মতো করে বাঁচতে।ঘুম থেকে উঠে এক কাপ কফিতে চুমুক দিয়ে যার ৯-৫টা অফিসের জন্যে বের হয়ে যেতে হবে না।বরং সারাটা দিন নিজেকে সময় দিতে পারবে আশেপাশের মানু্ষের খেয়াল রাখতে হবে এমন একজনের গল্পে আবর্তিত হয়েছে ফিকশনটি।
সমাজের বহুজাত ট্যাবু ভাঙতে গিয়ে যে মেয়েটি আপ্রাণ চেষ্টা করেছে।ফিকশনটিতে আয়েশা একজন বাঙালি মেয়ে হয়েও কে কি বলবে এইসব তোয়াক্কা না করে যিনি বাইক রাইড করেন শখের বসেই। ফ্যামিলি কে না জানিয়ে যিনি বাইক রাইডের করেন।
তার বাইক করে মেয়েদের অফিসে কাজে বাইরে পৌঁছে দেয়।শেষ অব্দি এটাকে পেশা হিসেবে নিতে গিয়ে থেমে যেতে হয় তাকে।
আয়েশা নামের এই মেয়েটিকে পোট্রে হয়েছে তাসনিয়া ফারিনের খুব ন্যাচেরাল আর সহজাত অভিনয়ে।
এই ফিকশনে তাসনিয়া ফারিনের কথা সবথেকে বেশী উঁচু গলায় বলতে হয়।ফারিন সহজ, সাবলীল আর ন্যাচেরাল একজন ট্যালেন্টেড একজন আর্টিস্ট।যার অভিনয়ে কোন খাঁদ নেই।যাকে জোর করে হাসতে হয় না, কাঁদার জন্যে আলাদা গ্লিসারিন ব্যবহার করার প্রয়োজন হয় না।অনেক মানুষের ভীড়ে যাকে আলাদা করা যায়।পর্দাকে নিজেকে হাতের তুড়ি দিয়ে কথা শাসন করতে পারেন।
সুতোর এপাশটায় আছেন তানভীর নামক আরেক শহুরে যুবক।যার বিয়ের ব্যাপারে সবসময় খুতখুতানি। আট দশটা ফ্যামিলির ছেলের মতোন লোকের কথা মেনে নেওয়া যার স্বভাব। মায়ের ইচ্ছেয় পছন্দের মানুষকে বির্সজন দেওয়া এক আদর্শ ছেলে আর স্বাধীন চেতা এক হার না মানা গল্প হয়ে উঠেছে ‘মেইড ফর ঈচ আদার’
গল্পের শেষ পরিনতি দেখার জন্যে এই ঈদে মাবরুর রশিদ বান্নাহ পরিচালিত ‘মেইড ফর ঈচ আদার’ ফিকশনটি পুরো দেখে ফেলতে হবে আপনাকে।
বাদ বাকিদের অভিনয় আপনাকে টানবে চুম্বকের মতোন।ফিকশন দিয়ে বাজিমাত করা পরিচালক মাবরুর রশিদ বান্নাহ’র ‘মেইড ফর ঈদ আদার’ তার ঝুলিতে সফল হবার মতোন একটি কাজ।